,

আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ চাই: প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক :: জনগণের ভোটে নির্বাচনে জয়ী হবে আবারও মানুষের সেবা করার সুযোগ চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত মহিলা এমপি রওশন আরা মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, ভোটও চাই। যাতে আবারও ক্ষমতায় এসে এই অন্যায়-অবিচারের বিচার করতে পারি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাদের সেবা করার সুযোগ দিলে একুশে আগস্টের মত সব অন্যায়-অবিচার ও জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত করে দেশের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। শেখ হাসিনা বলেন, আবারও যদি দেশের মানুষ ভোট দেয়, যেন মানুষের সেবা করার সুযোগ পাই- সেটাই চাই। ক্ষমতায় আসার জন্য দেশের মানুষের ভোটের যেমন প্রয়োজন, তেমনি আল্লাহর ইচ্ছাটাও প্রয়োজন। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মা ভাইসহ সবাইকে হত্যা করা হয়। আমার ১০ বছরের ছোট্ট ভাই শিশু রাসেলও এই হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পায়নি। ১৫ আগস্টের ১৫ দিন আগে দেশ থেকে চলে যাওয়ায় ভাগ্যক্রমে আমি আর আমার বোন বেঁচে যাই। যখন দেশে এসেছি, তখন একটি কথাই আমার মাথায় ছিল যে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দেশের মানুষকে কতটুক দিতে পারব- সেটাই বড় কথা। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। একটানা দশ বছর ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান করতে পেরেছি। দেশের মানুষও তার সুফল পাচ্ছেন। টানা দুই মেয়াদে তার সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি আগামীবারও ক্ষমতায় আসতে পারলে তার পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু ও কর্ণফুলী টার্ণেলের কাজ চলছে। আগামীবার ক্ষমতায় আসতে পারলে এসব বড় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের দারিদ্র্যের হার ২১ ভাগে নামিয়ে আনতে পেরেছি। এটিকে আরও কমাতে চাই। যেন দেশ পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত হয়। এটা করতে পারবো- সেই বিশ্বাসও আমার রয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি, সেটাও বাস্তবায়ন করতে পারব। ২০৪১ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারব কি-না জানি না, বয়স হয়েছে। তবে যে উন্নয়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেটা অব্যহত থাকবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আর আগামীবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আমাদের মূল কাজ হবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক থেকে দেশকে রক্ষা করা। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। এদেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ও মাদকের স্থান হবে না। আর দুর্নীতি দূর করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠ সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সংরক্ষিত মহিলা এমপি নূরে হাসনাত লিলি চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবসনে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর তাদেও ছবি ও বায়োমেট্রিক নিয়ে আইডেন্টি কার্ড করে দেওয়া হয়েছে। তারা যেন ক্যাম্পেই থাকতে পারেন, সেখানে সুরক্ষিত থাকতে পারেন এবং ক্যাম্পের বাইরে এসে কোনো রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত না হতে পারেন- সে ব্যাপাওে সরকার সজাগ আছে। সেখানে বিজিবিসহ আইনশৃপখলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। তবে রোহিঙ্গারা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত হয়েছেন- এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদেও প্রত্যাবসনে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তালিকাও করা হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাপও অব্যাহত রয়েছে। আশা করি, তাদের ফেরৎ পাঠানো সম্ভব হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর